আ হ জুবেদ: স্বাধীনতা সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে দেশটির বাংলাদেশি কমিউনিটির শিশু-কিশোরদের চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) কুয়েতের হাওয়াল্লি এলাকায় কুয়েত আর্টস অ্যাসোসিয়েশন এর হলরুমে আয়োজিত চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব, দূতালয় প্রধান নিয়াজ মোর্শেদ ও কাউন্সেলর ইকবাল আক্তার এর যৌথ পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুয়েত আর্টস সেক্টরের এসিসটেন্ট সেক্রেটারি জেনারেল ডক্টর বাদর আল-দাইশ।
আর্টস অ্যাসোসিয়েশন- কুয়েত, বঙ্গরূপা চারুকারু সংগীত শিশু মেলা ও ফ্যামিলি ফোরাম কুয়েতের যৌথ সহযোগিতায় আয়োজিত চিত্র প্রদর্শনী শুভ উদ্বোধন করেন, প্রধান অতিথি ডক্টর বাদের ফয়সল আল-দাইস, কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামানসহ কুয়েতস্থ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুয়েতস্থ ভারত, নেপাল, তাজিকিস্তান ও ভিয়েতনাম এর রাষ্ট্রদূতগন সহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ। এছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় নাগরিক ও বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিদেশি অতিথিরা কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের চিত্র প্রদর্শনী আয়োজনের ভূয়সী প্রসংসা করে বলেন, বাংলাদেশের কৃষ্টি- কালচার ও ইতিহাস চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী এর পরিচিতির পরিধি আরো কয়েকগুণ বাড়ল।
কুয়েতে বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রায় দেড় শত শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন বাংলাদেশের কৃষ্টি- কালচার ও ইতিহাস এর ব্যাপক প্রসার ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলো। এ কথা উল্লেখ করে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান বলেন, বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র কুয়েতের আর্টস অ্যাসোসিয়েশন আজকের চিত্র প্রদর্শনী আয়োজনে সব ধরনের সহযোগিতা করেছে বলেই এটি সফল ও সার্থক ভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হল।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে উপসাগরীয় এ দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে।
দু’দিন ব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের ”প্রথম দিন” বৃহস্পতিবার ২৩শে ডিসেম্বর শুভ উদ্বোধন এর পর বিদেশি অতিথিদের নিয়ে রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান মনোমুগ্ধকর চিত্র প্রদর্শনী হলটি পরিদর্শন করেন।
ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী, দেশি-বিদেশি গান পরিবেশন, ক্লাসিক্যাল ড্যান্সসহ ছিল নানা কর্মসূচী।
দ্বিতীয় দিন, ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান ও বিদেশি অতিথিদের বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের আঁকা ছবি উপহারসহ নানা আয়োজন শেষে রাষ্ট্রদূতের সমাপনী বক্তব্যের মধ্যদিয়ে দু’দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।